ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪

গরমের তীব্রতায় জব্বারের বলি খেলায় ক্রেতা শূন্য

দিদারুল ইসলাম

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৪

গরমের তীব্রতায় জব্বারের বলি খেলায় ক্রেতা শূন্য

চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে প্রতিবছরের ১২ বৈশাখ ঐতিহাসিক জব্বারের বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরও ২৫ এপ্রিল আয়োজন করা হয়েছে সেই ঐতিহাসিক কুস্তি বলি খেলা। বলি খেলাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের আশেপাশে জমে ওঠে দৃষ্টিনন্দন বৈশাখী মেলা। সেই মেলায় বাঙালি ঐতিহ্যের হৃদয় কাড়া সব পণ্য নিয়ে উপস্থিত হতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। 

চট্টগ্রামে প্রবাদ আছে, ‍‍`সুঁই থেকে ফুলশয্যার খাট‍‍` কি থাকেনা জব্বারের বলি খেলার বৈশাখে মেলায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের স্থানীয়রা এই মেলা থেকে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে মাসের পর মাস।

সরেজমিনে দেখা যায়, মৃৎ শিল্প, কুটির শিল্প, গ্রামীণ নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছে ক্রেতারা, লালদীঘির মোড়, সিনেমা প্যালেস, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালি, নিউমার্কেট এলাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ভাসমান দোকান।

সেই দোকানে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে, মাটির তৈজসপত্র, ফুলদানি, শোপিস, হাতি-ঘোড়া, মাটির ব্যাংক, হাড়ি-পাতিল, জগ-গ্লাস, পুতুল এবং দেবতার মূর্তি সহ নানা রকমের মৃৎ শিল্পের দৃষ্টিনন্দন পণ্য। 

অন্যদিকে দেখা গেছে, পাট, সুতো, বাঁশ, বেতন, কাঠ সহ নানা উপকরণ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র, শীতল পাটি, মাদুর, মানসম্মত তালপাতার তৈরি হাতপাখা বিক্রয়ের জন্য এই মেলা যুগ যুগ ধরে বিখ্যাত। 

বিক্রেতারা বাহারি সব পণ্যের যোগান নিয়ে উপস্থিত থাকলেও এবছরের তীব্র তাপদাহের কারণে ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই কম। 

গরমে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক বিক্রেতারা প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে, তবুও মেলার দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই আশায় বুক বেঁধে বসে আছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসা বিক্রেতারা। 

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে আসা ফুলের ঝাড়ু ও শলার ঝাড়ু বিক্রেতা ফজল করিম বার্তা জগত টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আজ এপ্রিলের ২৩ তারিখ এখনো পর্যন্ত ঝাড়ু বিক্রি করে আমরা আমাদের গাড়ি ভাড়া পর্যন্ত তুলতে পারিনি, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রয় খুব কম, ক্রেতাদের উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি অতিরিক্ত গরমকে দায়ী করেছেন।

তবে তিনি আশা করছেন আগামী দুই দিন হয়তো বা ভালো বিক্রি হবে, তবে তাপমাত্রা না কমলে অসুস্থতার ভয়ে অধিকাংশ ক্রেতারা মেলায় না আসার আশঙ্কা করছেন তিনি।

মেলায় গাছের চারা থেকে শুরু করে, খাবারের দোকান, হস্তশিল্পের নানা রকম প্রদর্শনী, উপজাতিদের হাতের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্রের উপস্থিতি ছিল নজর কাড়া।

সারাদেশের তুলনায় চট্টগ্রামে তাপমাত্রা কিছুটা কম হলেও স্থানীয়ভাবে এবারের এই তাপমাত্রাও ছিল চট্টগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ।

যার কারণে জব্বারের বলি খেলার বৈশাখী মেলায় সকাল থেকে বিকাল অব্দি ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই কম। 

সন্ধ্যার পর থেকে কিছুটা ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও তা দিয়ে বিক্রেতাদের চাহিদার লক্ষ্যমাত্রার বিশ ভাগও পূর্ণ হচ্ছে না।

বার্তাজগৎ২৪

Link copied!