এখন থেকে মাত্র ৪% সুদে ছাগল, ভেড়া ও গাড়ল পালনে এই ঋণ বিতরণ করবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার যে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে, সেখান থেকে ব্যাংকগুলো ছাগল, ভেড়া ও গাড়ল পালনের পাশাপাশি কন্দাল ফসল চাষে ঋণ বিতরণ করতে পারবে। একইসঙ্গে এই তহবিলের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তহবিল থেকে সর্বোচ্চ চার শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন কৃষক।
এতদিন এই তহবিল থেকে গরু মোটাতাজা করতেও ঋণ পাওয়া যেত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে ছাগল পালনেও মিলবে ব্যাংক ঋণ।
দেশের ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি খাতের জন্য গঠিত ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিমটির চাহিদা থাকায় ব্যাংক থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণের সময়সীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে গঠিত এই তহবিলের মেয়াদ ছিল এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।
এই তহবিলের অধীনে ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করতে পারবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক, বর্গাচাষি ও ফসল (ধান, শাক-সবজি, ফুল ও ফল) চাষের জন্য সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করতে পারবে ব্যাংক। তবে গরু-ছাগল পালনসহ প্রাণিসম্পদ খাতে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ঋণ পরিশোধে কৃষক বা গ্রাহক তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাস সময় পাবেন।
১৫ লাখ টাকার সেই ছাগলটি এখন কোথায়?১৫ লাখ টাকার সেই ছাগলটি এখন কোথায়?
কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের সঙ্গে অংশগ্রহণ চুক্তির মাধ্যমে এই তহবিলের সুবিধা নিতে পারবে। এসব ব্যাংকের চাহিদা, কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ও ঋণ বিতরণের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে কৃষি ঋণ বিভাগ তহবিল বরাদ্দ করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দশমিক ৫০% সুদে অর্থ নিয়ে কৃষক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৪% সুদে ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকগুলো।
শস্য ও ফসল খাতে সর্বোচ্চ পাঁচ একর জমিতে ফসল চাষের জন্য ঋণ পাবেন কৃষক। এসব ছাড়া অন্য খাতে ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম জামানত গ্রহণের বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে।
আপনার মতামত লিখুন :