ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

দেশে স্বর্ণের দর ঘন ঘন ওঠানামা করছে কেন

বার্তাজগৎ২৪ ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৪

দেশে স্বর্ণের দর ঘন ঘন ওঠানামা করছে কেন

কয়েক মাস ধরে বেশ অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশের স্বর্ণের বাজারে। দাম বাড়ার পরদিন আবার কমে যায়। তার পরদিন আবার বেড়ে যায়। এভাবে দেশে সর্বশেষ গত এপ্রিলে রেকর্ড ১২ বার ওঠানামা করেছে স্বর্ণের দর। দামের এমন ঘন ঘন উত্থান-পতনে বেশ বিভ্রান্তিতে পড়েছেন স্বর্ণালংকারের ক্রেতারা।
 

গহনাপ্রেমী ক্রেতারা বলছেন, অস্বাভাবিক দামের কারণে এমনিতেই স্বর্ণের গায়ে হাত দেওয়া যায় না। এর মধ্যে সকালে এক দর, বিকেলে আরেক দর। এমন পরস্থিতিতে গহনা কেনা এখন দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে গহনা কেনার শখকে লালন করা থেকে বিরত না থেকে উপায় নেই। আবার কারও কারও অভিযোগ, বিশ্ববাজারের দোহাই দিলেও অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে স্বর্ণের ভরিতে দামে ফারাক থাকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা নানা যুক্তি দাঁড় করালেও দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) হয়তো তাদের নিজস্ব কোনো প্রক্রিয়ায় দর নির্ধারণ করে। তবে দেশে দর নির্ধারণে এখন একটা ‘স্ট্যান্ডার্ড’ তৈরি করা উচিত। যাতে সবাই সহজে দাম বাড়া বা কমার বিষয়টি বুঝতে পারে।

স্বর্ণের ভরি এখন কত

দেশে স্বর্ণের দর নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সংগঠনটির গত বৃহস্পতিবারের দেওয়া ঘোষণা অনুসারে, সবচেয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেট মানের দাম প্রতি ভরি ১ লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা। ১৮ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা।

বিদেশের তুলনায় দেশে দাম বেশি

ক্রেতারা বলছেন, দেশে হুহু করে দাম বাড়তে থাকায় স্বর্ণালংকার কেনার স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাচ্ছে অনেকের। দিন দিন স্বর্ণের অলংকার অনেকেরই ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের গহনা বিক্রি কমেছে। তবে যারা স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগ মনে করেন, তাদের কাছে এর চাহিদা বেড়েছে।

গত সোমবার কারওয়ান বাজারের জুয়েলারি ব্যবসায়ী মহসিন মিয়া বলেন, দাম বাড়ার কারণে বিক্রি অনেক কমেছে। অনেকেই এখন স্বর্ণের পরিবর্তে ইমিটেশন গহনা কিনছেন। এর কিছুটা প্রমাণ মিলেছে ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনায়।  দীর্ঘদিনের শখ পূরণে চেইন (গলার হার) কিনতে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে আসেন গৃহিণী শাহানারা বেগম। কিন্তু ধারণার চেয়ে দাম বেশি থাকায় কেনা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হন তিনি। হতাশা জানিয়ে শাহানারা বেগম সমকালকে বলেন, ‘সব দিকে শোনা যাচ্ছে দাম অনেক কমে গেছে। কিনতে এসে দেখি প্রতি ভরি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকার কাছাকাছি। এত টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়।’ একই মার্কেট থেকে স্বর্ণের একটি রিং (আংটি) কেনার পর শাহরিয়ার আলম নামে আরেক ক্রেতা জানান, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে থাকেন। তাঁর মতে, ওই দেশের তুলনায় বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম ভরিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি।

ঘন ঘন পরিবর্তন হয় কেন

দাম ঘন ঘন পরিবর্তনের বিষয়ে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের যুক্তি হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতি ও বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান-পতন ডলারের দরকে প্রভাবিত করেছে। যার প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। অন্যদিকে যখনই বিশ্ব অর্থনীতিতে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তখনই এর সরাসরি প্রভাব পড়ে স্বর্ণের বাজারে। কারণ বিনিয়োগের নিরাপদ গন্তব্য এ খনিজ ধাতু। তা ছাড়া জুয়েলারি পণ্য হলো গহনা, যার কাঁচামাল বুলিয়ন বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনা হয়। তারা আন্তর্জাতিক বাজারের রেট অনুসরণ করেন। ফলে বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে স্বর্ণের দাম বাড়ে বা কমে।
বিশ্বব্যাপী স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে ধাতুটির দাম বাড়া বা কমা। ভারতের স্বর্ণবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল মাই গোল্ড গাইডের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ রিজার্ভ রাখে। তাদের এই রিজার্ভের একটা প্রভাব থাকে স্বর্ণের বাজারে। তা ছাড়া যখন ডলারের সংকট বা দাম বাড়ে তখন স্বর্ণের বাজারও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এসব যুক্তি যথার্থ বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরাও।

স্বর্ণের দাম হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়ে কিছু ব্যাখ্যা পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনভেস্টোপিডিয়ায়। এতে বলা হয়েছে, ডলার বাজারে অস্থিরতা, জ্বালানি তেলের দাম, মূল্যস্ফীতি, ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক ঋণের সুদহার স্বর্ণের বাজারে বড় প্রভাব রাখে। যেমন– ডলারের দর বাড়লে স্বর্ণের দর কমে। ডলার দুর্বল হলে স্বর্ণের তেজ বাড়ে। বিশ্বের কোনো দেশে যুদ্ধ শুরু হলে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ফলে অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ না করে স্বর্ণকে নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংকে সুদহার কমে গেলে বিনিয়োগকারীরা ছুটতে থাকেন স্বর্ণের বাজারে। তাতে কদর বেড়ে যায় ধাতুটির। আবার দেখা যায়, সুদহার বাড়লে স্বর্ণে বিনিয়োগ কমে যায়। বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন দেশে স্বর্ণের দর বাড়ে বা কমে। তবে বারবার দর ওঠানামা করলে স্বর্ণ কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ক্রেতারা।

এক বছরে বেড়েছে ১০ হাজার ১৯ টাকা

বাজুসের তথ্যমতে, গত বছরের শুরুতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ৮৮ হাজার ৪১৩ টাকা। দেশে গত এক বছরে বারবার স্বর্ণের দর কমেছে বা বেড়েছে। এ হ্রাস-বৃদ্ধিতে শেষ পর্যন্ত একটা বড় অঙ্ক যুক্ত হয়ে যায়। অর্থাৎ বছর শেষে আগের বছরের তুলনায় থাকে অনেক বাড়তি দাম। যেমন– বছরখানেক আগে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেটে) স্বর্ণের ভরি ১ লাখ টাকার কমে পাওয়া যেত। গত বছরের ১ এপ্রিল এ মানের স্বর্ণের ভরি ছিল ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকা। কিন্তু চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল স্বর্ণের ভরি পৌঁছায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকায়, যা এখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দর। তবে কয়েক দফায় দাম কমে এখন নেমেছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকায়। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এক বছরে দাম বেড়েছে ১০ হাজার ১৯ টাকা। এভাবে প্রতিবছরই দাম বাড়ছে খনিজ ধাতুটির।

বিশ্ববাজারে এখন স্বর্ণের দর কত

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) হিসাবে, সর্বশেষ গত ২ মে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (২৮.৩৫ গ্রাম) স্বর্ণের দর ছিল ২ হাজার ২৮৮ ডলার। গত বছরের একই সময় অর্থাৎ ২ মে এ দর ছিল ১ হাজার ৯৯৫ ডলার। সে হিসাবে প্রতি আউন্সে দর কমেছে ২২৩ ডলার। কিন্তু সেই তুলনায় দেশে দামে কমেনি।

দাম নিয়ে বাজুসের ব্যাখ্যা

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাজুসের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, গত এক বছরে কতবার ওঠানামা করেছে, সে তথ্য তাঁর জানা নেই। তবে আনুমানিক একটা হিসাব দেওয়া যেতে পারে। যেমন– প্রতি মাসে পাঁচ-ছয়বার দাম ওঠানামা করে। মাসে গড়ে পাঁচবার করে হলেও এক বছরে ওঠানামা করেছে অন্তত ৬০ বার। এর মধ্যে মূল্যবৃদ্ধি ও হ্রাসের অনুপাত হতে পারে যথাক্রমে ৭০ ও ৩০ শতাংশ। অর্থাৎ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে।

বাজুসের ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, দাম বাড়া বা কমানোর ক্ষেত্রে দেশের ব্যবসায়ীদের হস্তক্ষেপ থাকে না। দাম ওঠানামা করে বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। গত এপ্রিলে বিশ্ববাজারে অস্থিরতার কারণে অস্বাভাবিকভাবে দর ওঠানামা করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে কয়েকটি দেশের বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া, বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান-পতন, ডলারের অস্থিরতার ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের বাজারে।

তিনি বলেন, স্বর্ণ বিদেশ থেকে আনতে হয়। মধ্যপ্রাচ্যে কিংবা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যখন দর ওঠানামা করে তখন বাংলাদেশেও সমন্বয় করতে হয়। নতুবা পাচারের আশঙ্কা থাকে। তবে অন্যান্য দেশে একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অটোমেটিক দর বাড়ে বা কমে। বাংলাদেশে সে সিস্টেম চালু হয়নি। ফলে বিশ্ববাজারে বাড়া বা কমার দু-এক দিন পর বাংলাদেশে সমন্বয় করা হয়।

এপ্রিলে দর পরিবর্তন ১২ বার

একক কোনো মাসে স্বর্ণের দর হ্রাস-বৃদ্ধির রেকর্ড হয়েছে গত এপ্রিলে। সর্বোচ্চ ১২ বার ওঠানামা করেছে দাম। এর মধ্যে দর বেড়েছে চারবার আর কমেছে আটবার। গত ২১ মার্চ দাম বাড়ার পর ৫ এপ্রিল পর্যন্ত তা বহাল ছিল। ওই সময় অর্থাৎ ৫ এপ্রিল ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দর ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা। এরপর ৬ এপ্রিল ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা। দু’দিনের মাথায় ভরিতে ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বেড়ে ৮ এপ্রিল দর দাঁড়ায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। ১৮ এপ্রিল ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে দর দাঁড়ায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। অর্থাৎ এ চার দিনে ভরিতে বেড়েছে মোট ৬ হাজার ১৯৪ টাকা। দু’দিন পর ২০ এপ্রিল ভরিতে ৮৪০ টাকা কমে দর হয় ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।

২১ এপ্রিল ফের ভরিতে ৬৩০ টাকা বেড়ে দর ওঠে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকায়। এটি ছিল দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের রেকর্ড দর। এরপর টানা প্রায় প্রতিদিনই কমেছে। ২৩ এপ্রিল ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমে দর নেমে আসে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকায়। ২৪ এপ্রিল দর আরও ২ হাজার ৯৯ টাকা কমে হয় ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা। ২৫ এপ্রিল ভরিতে ৬৩০ টাকা কমে হয় ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। ২৭ এপ্রিল ভরিতে আরও ৬৩০ টাকা কমে হয় ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। ২৮ এপ্রিল ভরিতে ৩১৫ টাকা কমে হয় ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা। ভরিতে ১ হাজার ১৫৫ টাকা কমে ২৯ এপ্রিল দর নেমে আসে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১-তে। সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল ভরিতে আরও ৪২০ টাকা কমে নেমে আসে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকায়। দর হ্রাস-বৃদ্ধি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এপ্রিলে চারবারে ভরিতে দর বেড়েছে ৬ হাজার ১৯৪ টাকা। আর আটবারে কমেছে ৯ হাজার ২২৭ টাকা।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যবসায়ীরা বলে থাকেন বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে দর বাড়ান বা কমান। বিশ্ববাজারে গত এপ্রিলের শুরুতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। তখন প্রতি আউন্স (২৮.৩৫ গ্রাম) ২ হাজার ৪০০ ডলার ছাড়ায়। এরপর বেশ কমে গেছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে যে হারে কমেছে, দেশে সে হারে দাম কমতে দেখা যায়নি।  

তিনি বলেন, ‘বাজুস হয়তো তাদের নিজস্ব কোনো প্রক্রিয়ায় দর নির্ধারণ করে। সে প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমার জানা নেই। দর হ্রাস-বৃদ্ধি কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে আমি মনে করি, দেশে দর নির্ধারণে একটা স্ট্যান্ডার্ড থাকা উচিত। যাতে সবাই সহজে বুঝতে পারে।’ 

বার্তাজগৎ২৪

Link copied!