তুরস্কের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জয় পেয়েছে এরদোয়ানের বিরোধী দল। আনাদুলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, রাজধানীর ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারার প্রধান শহরগুলোতে জয় পেয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) প্রার্থীরা। বলা হচ্ছে- ২০ বছরে একে পার্টির এমন বড় পরাজয় দেখা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় নির্বাচনে বিরোধী দলের জয় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির জন্য (একে পার্টি) একটি বড় ধাক্কা।
খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতে এগিয়ে সিএইচপি। এসব প্রদেশের অনেক জায়গায় একে পার্টির অবস্থান অনেক শক্তিশালী ছিল।
পরাজয়ের কথা স্বীকার করেছেন এরদোয়ান। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বারান্দায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, এ কে পার্টি তার প্রভাবশালী অবস্থান হারিয়েছে। এই হারের পেছনের কারণ খোঁজা হবে। কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে তা শুধরে নেয়া হবে।
ইস্তাম্বুলে রোববার ৯৫ শতাংশ ব্যালট গণনা করা হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি মেয়র একরেম ইমামোগলু জানিয়েছেন, তিনি একে পার্টির পার্টির চাইতে ১০ লাখ বেশি ভোট পেয়েছেন। এছাড়া তুরস্কের তৃতীয় বৃহৎ শহর ইজমিরেও এগিয়ে রয়েছে সিএইচপি।
একরেম ইমামোগলু এক বক্তৃতায় বলেন, ‘যারা জাতির বার্তা বোঝেন না, তারা শেষ পর্যন্ত হেরে যাবেন। আজ রাতে ইস্তাম্বুলের ১৬ মিলিয়ন বাসিন্দা যারা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রেসিডেন্ট—উভয়ের প্রতি একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।’
রাজধানী আঙ্কারায় সিএইচপির মেয়র মানসুর ইয়াভাস জয়ের দাবি জানিয়ে ফলাফলকে দেশের ‘শাসকদের জন্য এক স্পষ্ট বার্তা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
রোববার দিনব্যাপী নির্বাচনে দেশটির ৮১ প্রদেশে ৭৭ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ নির্বাচনের ফলের প্রেক্ষাপটে তুরস্কের রাজনীতি নতুন মোড় নিল। ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একে পার্টির বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :