স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রান্তিক অঞ্চল পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে হবে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি ঠিকভাবে কাজ করে তাহলেই এটা সম্ভব হবে। এজন্য যত রকম সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মাই হেলথ, মাই রাইট (স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিতে: কাজ করি একসাথে) প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিপাদ্য তখনই স্বার্থক হবে যদি ডাক্তার, নার্স, পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ হাসপাতালে কর্মরত অন্যান্য সদস্যরা একসাথে কাজ করেন৷ তিনি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পাল্টে দিতে সকল স্তরের জনসাধারণকে স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ হবার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আবুল বাসার খুরশিদ আলম বলেন, দেশে ডাক্তারের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে বেড়ে ৩০ হাজার হয়েছে। দেশে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা শুরু করায় অফিসে উপস্থিতি বেড়েছে। আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে ৫০০টি এর মাঝে ৫০ শয্যার হাসপাতাল আছে ৩৭৬টি। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি বেড়েছে, শিশু মৃত্যুহার কমেছে। ইপিআই টিকাদান প্রায় ৯৪ শতাংশ সফল হয়েছে। রাতকানা রোগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বর্তমানে ৫ বছরের কম বয়সী খর্বকায় শিশুর জন্মের সংখ্যা ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে সচিব মো. আজিজুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বার্ডান জাং রানা, স্বাচিপ সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :